জেলা 

Mamata Banerjee: মমতা ব্যানার্জি সর্বকালের শ্রেষ্ঠ মুখ্যমন্ত্রী, হিঙ্গলগঞ্জে বললেন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক

শেয়ার করুন

বিশেষ প্রতিবেদন,সমসেরনগর : মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ মুখ্যমন্ত্রী। তিনি সারা ভারতবর্ষের মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ নেত্রী বলে আজ বুধবার এক সভায় মন্তব্য করলেন রাজ্যের বনমন্ত্রী শ্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। তিনি এদিন বলেন,বাংলার মুখ্যমন্ত্রী সর্বযুগের,সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ মুখ্যমন্ত্রী।মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একটা ইনস্টিটিউশন। আমরা যারা বিধায়ক হয়েছি,মন্ত্রী হয়েছি সবটাই ওই ইনস্টিটিউশনের প্রোডাক্ট। আমি তাঁকে খুব কাছ থেকে দেখেছি। সত্যিই তিনি মানবিক। মানবিকতা তাঁর একমাত্র পরিচয়। যখনই তাঁর সঙ্গে কথা হয় তার বেশিরভাগ কথাতেই মানুষ সরকারী সুবিধাগুলো পাচ্ছে কিনা, লক্ষ্মীর ভান্ডারের কাজ কতদূর এগোলো, সবুজসাথী, কন্যাশ্রী,যুবশ্রী প্রকল্পের পাশাপাশি আর মানুষের সুবিধার জন্য কি কি কাজ করা যায়। সত্যি কথা বলতে ভারতবর্যের ইতিহাসে এই রকমের একজন মানবিক,কর্মঠ নেত্রী আর নেই।

উল্লেখ্য,গতকাল মঙ্গলবার উঃ চব্বিশ পরগনা জেলার সুন্দরবনের হিঙ্গলগঞ্জে বিধানসভা এলাকার সমসেরনগরের সরকারি পরিষেবা প্রদান অনুষ্ঠান থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জেলার জন্য একগুচ্ছ প্রকল্পের সুচনার পাশাপাশি পনেরো হাজার মানুষের জন্য শীতবস্ত্র বিতরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয় । রাজ্য সরকারের মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী শ্রীমতি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজের হাতে হাজারের উপর মানুষের হাতে শীত বস্ত্র তুলে দেওয়ার পাশাপাশি প্রশাসনিক আধিকারিক ও জনপ্রতিনিধিদের সক্রিয় ভূমিকায় বুধবার সব ধরনের পরিষেবা সম্পন্ন প্রদানের বার্তা দিয়েছিলেন মা মাটি মানুষ সরকারের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি।

Advertisement

বস্ত্র সামগ্রী বিতরণ পর্বে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিশ্বস্ত সেনাপতি তথা বন ও অপ্রচলিত শক্তি দফতরের মন্ত্রী শ্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক জানান, মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নির্দেশ মত জেলা প্রশাসনের আধিকারিক ও জনপ্রতিনিধির মেলবন্ধনে অত্যন্ত সুষ্ঠু পরিবেশের মধ্যে দিয়ে সব রকমের পরিষেবা সম্পন্ন হয়।। তিনি জানান প্রত্যেকটি অঞ্চলের জন্য আলাদা আলাদা কাউন্টারের ব্যবস্থা করা হয় উপভোক্তাদের সুবিধার্থে। তিনি বলেন, বাংলার মুখ্যমন্ত্রী সর্বযুগের,সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ মুখ্যমন্ত্রী।মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একটা ইনস্টিটিউশন। আমরা যারা বিধায়ক হয়েছি,মন্ত্রী হয়েছি সবটাই ওই ইনস্টিটিউশনের প্রোডাক্ট। আমি তাঁকে খুব কাছ থেকে দেখেছি। সত্যিই তিনি মানবিক। মানবিকতা তাঁর একমাত্র পরিচয়। যখনই তাঁর সঙ্গে কথা হয় তার বেশিরভাগ কথাতেই মানুষ সরকারী সুবিধাগুলো পাচ্ছে কিনা, লক্ষ্মীর ভান্ডারের কাজ কতদূর এগোলো, সবুজসাথী, কন্যাশ্রী,যুবশ্রী প্রকল্পের পাশাপাশি আর মানুষের সুবিধার জন্য কি কি কাজ করা যায়। সত্যি কথা বলতে ভারতবর্যের ইতিহাসে এই রকমের একজন মানবিক,কর্মঠ নেত্রী আর নেই।

বলাবাহুল্য বুধবার সমসেরনগরের মাঠ থেকে সান্ডেরবিল,কালিতলা,সাহেবখালি,যোগেসগজ্ঞ,রুপামারি,খুলনা,বীশপুর,গোবিন্দঘাটি,হিঙ্গলগজ্ঞ,দুলদুলি অঞ্চলবাসীর জন্য উপহার সামগ্রী ব্যবস্থাপনায় প্রশাসনিক আধিকারিকদের পাশাপাশি জনপ্রতিনিধিদের দীর্ঘ সময় কাজের মধ্যে থাকতে দেখা যায়।

উল্লেখ্য মঙ্গলবার উক্ত মঞ্চ থেকে নতুন জেলা সুন্দরবন ঘোষণার পাশাপাশি বনবিবি মন্দিরকে ঘিরে পর্যটন শিল্পের উন্নয়ন করতে জেলা প্রশাসনকে সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেয় পশ্চিমবঙ্গ সরকারের জনকল্যাণকারী মুখ্যমন্ত্রী শ্রীমতি মমতা ব্যানার্জি।হিঙ্গলগঞ্জের মাটিতে দাঁড়িয়ে এলাকাবাসীর সুবিধার্থে বাসের সংখ্যা বাড়ানো, স্বাস্থ্যসাথী,কণ্যাশ্রী,লক্ষীর ভান্ডার,সহ দুয়ারে সরকার সহ সমস্ত পরিষেবার সুবিধা বিষয়ে উপভোক্তাদের বুঝিয়ে দেন।উক্ত জনসভায় রাজ্যের সর্বচ্চো পর্যায়ের আধিকারিকদের পাশাপাশি জনপ্রতিনিধিরাও উপস্থিত ছিলেন।

বুধবার পনেরো হাজার হাজার মানুষের হাতে শীত বস্ত্র ব্যবস্থাপনার পাশাপাশি উপভোক্তাদের হাতে বস্ত্রাদী তুলে দেওয়ার জন্য বনমন্ত্রী শ্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন জেলাশাসক শ্রী শরদ কুমার দ্বিবেদী, বিধায়ক দেবেশ মন্ডল, সুকুমার মাহাতো, রফিকুল ইসলাম, জেলা পরিষদের বন ও ভূমি স্থায়ী সমিতির কর্মাধ্যক্ষ একেএম ফারহাদ, অতিরিক্ত জেলাশাসক সামা পারভিন,ইন্দ্রনীল ভট্টাচার্য, তাহেরুজ্জমান,মহাকুমা শাসক সোমা সাউ, মৌসুম বাবু, জেলা পরিষদের কো মেন্টর মনোজ রায়, চেয়ারম্যান অদিতি মিত্র, সমাজসেবী উজ্জ্বল দাস,সমিক রায় সহ জেলা প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও বিভিন্ন সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক ও জনপ্রতিনিধিরা।

হরিপদ মন্ডল নামে জনৈক ব্যক্তি বলেন আমরা ধন্য এই রকম একটা মানবিক মুখ্যমন্ত্রী পেয়েছি। যা ইতিহাসে কোনও রাজ্যে নেই। কালিতলা পঞ্চায়েত নিবাসী নিলীমা দাস বলেন এলাকার উন্নয়ন ও মানুষের পাশে থেকে তাদেরকে সব ধরনের সাহায্য সহযোগিতা করা যার নেশা চোখে না দেখলে বিশ্বাস করা যায় না। এককথায় স্থানীয় মানুষের মনে খুশির হাওয়া হিঙ্গলগঞ্জের প্রত্যন্ত মাটিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপস্থিতি এবং বনবিবি মন্দিরকে ঘিরে পর্যটন কেন্দ্র গড়ে উঠবে তার ফলেই তারা আশায় বুক বাঁধছে আয়ের উৎস হিসাবে।


শেয়ার করুন

সম্পর্কিত নিবন্ধ